চিকিৎসা ও পুনর্বাসন (Treatment & Rehabilitation)
মাদকাসক্তি শুধু একজন মানুষের নয়, একটি পরিবারের ও সমাজের সমস্যা। যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে একজন মানুষ নতুন করে জীবনে ফিরতে পারে — শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ হয়ে।
কেন চিকিৎসা প্রয়োজন?
মাদকাসক্তি মস্তিষ্ক, শরীর ও আচরণের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। চিকিৎসা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় অসম্ভব। চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শরীর থেকে মাদক নির্ভরতা কমানো হয়, মানসিক সহায়তা দেওয়া হয় এবং পরিবার ও সমাজের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করা হয়।

কখন চিকিৎসা শুরু করা উচিত?
- মাদক ছাড়া একদিনও থাকা না গেলে।
- চেষ্টা করেও একাধিকবার ব্যর্থ হলে।
- পারিবারিক, সামাজিক বা কর্মজীবনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিলে।
- শরীরিক ও মানসিক জটিলতা বৃদ্ধি পেলে।
১. ডিটক্সিফিকেশন (Detox)
শরীর থেকে মাদক ধীরে ধীরে বের করে আনা হয় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে।
২. কাউন্সেলিং ও থেরাপি
ব্যক্তিগত ও গ্রুপ থেরাপির মাধ্যমে মানসিক স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা হয়।
৩. পুনর্বাসন ও ফলো-আপ
চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সমাজে পুনরায় সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি দেওয়া হয়।
বিশ্ব ও বাংলাদেশে মাদকাসক্তি পরিস্থিতি
🌍 বিশ্ব পরিসংখ্যান
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে মাদক ব্যবহার করে। প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ মাদক-সম্পর্কিত জটিলতায় মারা যায়।
🇧🇩 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ লক্ষাধিক মানুষ মাদকাসক্তির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ধারণা। তরুণ জনগোষ্ঠী এর সবচেয়ে বড় অংশ। তাই সচেতনতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জীবন বদলে দেওয়া সম্ভব 💪
“প্রত্যেক আসক্ত মানুষ দ্বিতীয় সুযোগের যোগ্য। চিকিৎসা ও সঠিক সহায়তার মাধ্যমে আপনি বা আপনার প্রিয়জন নতুন জীবনের পথে ফিরতে পারেন।”
আপনার প্রিয়জনকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনুন আজই
যোগাযোগ করুন
